Age is just a number. অর্থাৎ কিনা, বয়স সংখ্যামাত্র। এই প্রবাদের সত্যতা প্রতি পদে বোঝা যায় অভিনয় জগতের তারকাদের ক্ষেত্রে। লাইমলাইটে থাকার জন্য বয়স ধরে রাখা তাঁদের পেশাগত জীবনের অন্যতম প্রধান দাবি। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে অনেকেই যেমন গোপনে প্লাস্টিক সার্জনের কিংবা বিভিন্ন থেরাপির সাহায্য নেন, তেমন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বহু তারকাই রয়েছেন, প্রাকৃতিকভাবেই যাঁদের চেহারায় বয়স থাবা বসাতে পারেনি। তবে প্রাকৃতিক হোক বা কৃত্রিমভাবে, টিনসেল টাউনের বহু তারকাই সময়ের ছাপ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে এতটাই সফল, যে, তাঁদের প্রকৃত বয়স অনুমান করা মুশকিল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে, বি-টাউনের তারকাদের সঙ্গে যদি তুলনা করা যায় রাজনীতির ময়দানের পরিচিত মুখদের, তাহলে সমবয়সী হওয়ার পরেও দুই পেশার তারকাদের চেহারার বৈপরীত্য দেখলে অবাক হয়ে যেতে হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক দুই পেশা থেকে আগত তেমনই কিছু সমবয়সী যুগলকে।
১. হেমা মালিনী এবং নরেন্দ্র মোদি: ড্রিম গার্লকে দেখে বোঝার উপায়ই নেই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও তিনি বছর দুয়েকের বড়! সাদা দাড়ি গোঁফে প্রধানমন্ত্রীর বয়স ৭১ বছর বলে মানতে সমস্যা না হলেও হেমা মালিনীকে দেখে বোঝার উপায়ই নেই, সদ্যই ৭৩ বছরে পা দিলেন তিনি।
২. মিলিন্দ সোমান এবং অমিত শাহ: ৫৬ বছর বয়সেও মিলিন্দ সোমানের ফিটনেস এবং নিখুঁত পেশীবহুল চেহারা বহু তরুণের কাছেও ঈর্ষণীয়। তবে জানতেন কি, ভারতীয় রাজনীতির 'চাণক্য' অমিত শাহ মিলিন্দের থেকে মাত্র ১বছরের বড়?
৩. অর্জুন রামপাল এবং যোগী আদিত্যনাথ: বলিউডের হ্যান্ডসাম হাঙ্ক অজুর্ন রামপাল এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নাকি সমবয়সী! হ্যাঁ, দু'জনেরই বয়স ৪৯ বছর। বিশ্বাস হয়, বলুন দেখি?
৪. রেখা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বলিউডের এভারগ্রিন অভিনেত্রী ভানুরেখা গণেশন, ওরফে রেখা সদ্যই পা দিলেন ৬৭ বছরে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেখার সমবয়সী। তবে দিদির ফিটনেসও কিছু কম ঈর্ষণীয় নয়!
৫. মালাইকা আরোরা এবং স্মৃতি ইরানি: দু'জনেই অভিনেত্রী। যদিও অভিনয়ের আঙিনা পেরিয়ে রাজনীতির মঞ্চে পা রেখেছেন স্মৃতি। বিশ্বাস করা মুশকিল, ৪৮ বছর বয়সী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর থেকেও ফিটনেস ফ্রিক মালাইকা দু' বছরের বড়ো!