ছবিতে অভিনয়ের বাইরেও বলিউড সেলিব্রিটিদের উপার্জনের বিবিধ পথ থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হলো, কোনও নামী দামী ব্র্যান্ডের হয়ে প্রচার করা। 'ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট' এর মাধ্যমেও বিপুল রোজগার করেন বহু সেলেব। তারকাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁরা কোনও ব্র্যান্ডের হয়ে প্রচার করার আগে বিবেচনা করেন, বিশেষ কোনও বস্তুর হয়ে প্রচার করলে তাতে সমাজের কাছে ভুল বার্তা যাবে কিনা। ঠিক এই নীতিবোধ থেকেই ফর্সা হওয়ার ক্রিমের বিজ্ঞাপন করতে রাজি হননি কয়েকজন তারকা। মোটা অংকের টাকার প্রলোভনেও তাঁরা নৈতিকতার সঙ্গে আপোষ করেননি। চলুন, জেনে নেওয়া যাক তেমনই ৭ জন তারকার নাম।
১. অনুষ্কা শর্মা: বলিউডে বর্তমানে সর্বোচ্চ উপার্জনকারী অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হলেন অনুষ্কা। ২০১৫ সালে অনুষ্কা ঘোষণা করেন, তিনি কোনও প্রকার ফর্সা হওয়ার ক্রিমের হয়ে প্রচার করবেন না।
২. অভয় দেওল: বি টাউনের কিউট এই অভিনেতাকে কখনওই কোনও ফেয়ারনেস ক্রিমের জন্য প্রচার করতে দেখা যায়নি। এমনকী, নৈতিকভাবে সঠিক বার্তা দেয় না, এমন দ্রব্যের হয়ে তারকাদের প্রচার করা উচিত কিনা, সেই বিষয়ে বিতর্কের আয়োজন করেছিলেন অভয়।
৩. কঙ্গনা রানাওয়াত: ২০১৩ সালে একটি ফেয়ারনেস ক্রিমের হয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারের জন্য ২ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলিউডের কুইনকে। যদিও কঙ্গনা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। একটি সাক্ষাতকারে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, "আমি ছোট থেকেই কোনওদিন ফর্সা হওয়ার ধারণাটাই বুঝিনি। বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে একজন তারকা হয়ে মানুষের জন্য কী উদাহরণ তৈরি করব আমি? তারকা হিসেবে আমার কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। ওই প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমার কোনও আফসোষ নেই।"
৪. কল্কি কোয়েচলিন: কঙ্গনার মতো কল্কিও মোটা টাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি একটি সাক্ষাতকারে জানান, "ফর্সা হওয়ার মধ্যে ভুল কিছু নেই। কিন্তু এটা এখন এমন একটা উন্মাদনায় পরিণত হয়েছে, যে, সৌন্দর্য মানেই মানুষ ভাবে ফর্সা হতে হবে।"
৫. বিপাশা বসু: নিজে ফর্সা না হয়েও বলিউডে দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছেন এই বঙ্গতনয়া। বরাবরই সমস্ত রকম ফর্সা হওয়ার দ্রব্যের কড়া সমালোচনা করে এসেছেন বিপাশা।
৬. নন্দিতা দাস: ফেয়ারনেস ক্রিম এর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার অভিনেত্রী এবং চিত্রনির্মাতা নন্দিতা দাস। 'ডার্ক ইজ বিউটিফুল' নামক আন্দোলনের পিছনে প্রধান মুখ শ্যামবর্ণা এই প্রতিভাবান অভিনেত্রী।
৭. সুশান্ত সিং রাজপুত: প্রয়াত এই অভিনেতা বলিউডের বাকিদের থেকে মননে যে সামান্য হলেও আলাদা ছিলেন, তার প্রমাণ বহুবার মিলেছে। সূত্রের খবর, ফেয়ারনেস ক্রিমের হয়ে প্রচার করার জন্য ১৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সুশান্তকে। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। একজন তারকা হিসেবে জনগণের কাছে ভুল বার্তা দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না জনপ্রিয় এই অভিনেতা।