সাধারণ মানুষ থেকে তারকা হয়ে ওঠার যাত্রাপথে পরিবর্তন ঘটে বিভিন্ন রকম। এর ব্যতিক্রম নন বলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রীরা। একবার তারকা হয়ে গেলেই তাঁদের নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে ওঠে। পাবলিক প্লেসে গেলেই ঘিরে ধরে ভক্তরা। অটোগ্রাফ হোক বা ফটোগ্রাফ, ভক্তের চাহিদা পূরণ করতে হয় প্রিয় তারকাকে। তবে তার মধ্যেও ঘটে যায় অনভিপ্রেত ঘটনা। ছবি তুলতে এসে কেউ হয়তো হামলে পড়েন, কেউ কেউ অসভ্যতাও করে বসে। আর আর তা থেকে বাঁচতেই প্রয়োজন পড়ে দেহরক্ষী বা বডিগার্ডের।
বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের প্রত্যেকেরই রয়েছে ব্যাক্তিগত দেহরক্ষী। বিপুল পারিশ্রমিকের বিনিময়ে দেহরক্ষী রাখেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন বিরাট-পত্নী অনুষ্কা শর্মা। অনুষ্কার বডিগার্ডের পারিশ্রমিক শুনে চোখ কপালে উঠছে অনেকেরই। বলিউডে পা রাখার পর থেকেই অনুষ্কার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন সোনু। সোনুর আসল নাম প্রকাশ সিং। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সোনুর পারিশ্রমিকের পরিমাণ বছরে ১ কোটি টাকারও বেশি।
যদিও এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেননি অনুষ্কা বা সোনু কেউই। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারি বহু সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকের থেকেও বেশি পারিশ্রমিক পান সোনু। জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন অনুষ্কার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সোনু নায়িকার কাছে শুধুই একজন কর্মচারী নন, হয়ে উঠেছেন তাঁর পরিবারের একজন। 'জিরো' ছবির শুটিং এর সময় সেটেই কেক কেটে সোনুর জন্মদিন পালন করেছিলেন অভিনেত্রী। অনুষ্কার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সোনু নিষ্ঠার সঙ্গে কর্তব্য পালন করেছিলেন নায়িকা অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীনও। এমনকী, বিরাট-অনুষ্কার মেয়ে হওয়ার পরেও মা ও মেয়েকে পাপরাজ্জি ও ভিড় থেকে আগলে রাখেন সোনু।
বহু ক্ষেত্রে নায়িকার স্বামী ও ক্রিকেটার বিরাট কোহলির নিরাপত্তার দায়িত্বেও দেখা যায় সোনুকে। যদিও বিরাটেরও ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন, তবুও কখনও সখনও সোনুকেও সঙ্গে নিয়ে বের হন বিরাট। মোট কথা, নায়িকা ও তাঁর পরিবারের ছায়াসঙ্গী বলা চলে সোনুকে। নিজের ব্যক্তিগত জীবন স্যাক্রিফাইস করে নায়িকার রুটিনের সঙ্গে নিজেকে বেঁধে ফেলা সোনুর পারিশ্রমিক তাই আমজনতার চর্চার বিষয় হলেও তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথাই করেন না অনুষ্কা। বরং সোনুর হাতে নিজের ও স্বামী সন্তানের দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিন্ত তিনি।