দুই-তিন বছরে বলিউডে তৈরি হয়েছে এমন কিছু ছবি, সংবেদনশীল বিষয়বস্তু থাকার কারণে সেন্সর বোর্ডের কাঁচির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে সেগুলিকে। শুধু তাই নয়, বিতর্ক উস্কে দেওয়ার অভিযোগে বয়কট করার কথা বলা হয়েছে বেশ কিছু ছবিকে। তাই ছবির বিষয়বস্তু নির্বাচনের বিষয়ে ইদানিং সতর্ক থাকেন নির্মাতারা। আজকের সময় থেকে পিছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে, এই বলিউডেই ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে এমন কিছু ছবি, বর্তমান সময়ে তৈরি হলে মুক্তিই পেত না সেগুলি। তেমনই ৫ টি ছবির নাম রইল।
রং দে বাসন্তী: ছবিতে দেখা গিয়েছিল একগুচ্ছ তরুণকে, যারা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের উপর একটি ছবি তৈরি করবে বলে মনস্থির করে। ছবি তৈরির পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে যেতেই বদলাতে শুরু করে তাদের চিন্তা ভাবনা। দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদকে নিজেদের মতো করে সংজ্ঞায়িত করে তারা। দেশাত্মবোধ, জাতীয়তাবাদ বিষয়ে এতদিন ধরে মাথায় গেঁথে থাকা ধারণা আমূল বদলে যায়।
হায়দার: শেক্সপিয়ারের হ্যামলেট নাটক অবলম্বনে ছবিটি তৈরি করেন পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ। বাবার মৃত্যু, এবং মায়ের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে তুমুল টানাপোড়েনে ভুগতে থাকা এক কাশ্মীরি যুবকের চরিত্রে দেখা যায় শহীদ কাপুরকে। কাশ্মীরের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিও ধরা পড়েছিল বিশালের ছবিতে। কাশ্মীর নিয়ে বর্তমান সংবেদনশীলতা মনে করলে বলা যায়, আজকের দিনে মুক্তি পেতে বহু বিতর্কের জন্ম দিত হায়দার।
পিকে এবং ওহ মাই গড: দুটি ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন যথাক্রমে আমির খান এবং পরেশ রাওয়াল। কমেডির মোড়কে তৈরি এই ছবিদুটি আসলে এদেশে ধর্ম নিয়ে উন্মাদনার নগ্ন রূপ তুলে ধরে। স্বঘোষিত ধর্মগুরুদের স্বরূপ তুলে ধরে ইতিমধ্যেই ধর্মপ্রাণ মানুষের বিরাগভাজন হয়েছিল ছবি দু'টি। পিকে ছবিটি বয়কট করার দাবিও উঠেছিল দর্শকদের মধ্যে থেকে। ছবি মুক্তিকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহে ভাঙচুরও চলেছিল।
জানে ভি দো ইয়ারো: নাসিরউদ্দিন শাহ, পঙ্কজ কাপুর, ওম পুরী, নীনা গুপ্তা অভিনীত এই ছবিটি ভারতীয় রাজনীতি, ব্যুরোক্রেসি এবং সংবাদ মাধ্যমকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হওয়া স্যাটায়ার। হাস্যরসের মোড়কে বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির দুর্দশা নিদারুণ ভাবে ফুটে উঠেছিল এই ছবিটিতে। সেই সময়ে অত্যন্ত প্রশংসিত এই ছবিটি বর্তমানে আদৌ মুক্তি পেত কিনা, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েই যায়।